ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্য দিনের গল্প। কিন্তু কেন ঘটছে এতো দুর্ঘটনা? দায়ী কি শুধুই চালকেরা? নাকি আমরাও? বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ জনগণের বাস প্রাণের শহর ঢাকায়। কিন্তু সেই প্রাণের শহরেই দুর্ঘটনায় প্রাণ দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কেন? রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় বেপরোয়া বাস – ট্রাক চালক। শুধু তাই নয়, রিক্সা চালককেও প্রতিনিয়ত বেপরোয়া ভাবে রিক্সা চালাতে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিড ব্রেকারের কাছে আসলেই যেন তাদের গাড়ির গতি আরো দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়ে যায়!

শুধু চালকদের দায়ী করা মোটেও যুক্তিযুক্ত হবে না আমরা সাধারণ জনগণও তার চেয়ে বেশি দায়ী।
ফুট ওভারব্রীজ থাকা সত্বেও মেইন রাস্তা দিয়ে অনবরত রাস্তা পাড় হতে দেখা যায়। এভাবে যখন তখন গতিশীল গাড়ির সামনে চলে আসাতে থামতে বাধ্য হন গাড়ির চালকেরা যার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজটের কারণে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি – বেসরকারি চাকরিজীীদের অহেতুক সময় নষ্ট হয়। তারসাথে ঘটে যায় মারাত্মক সব দুর্ঘটনা।
শুধু ফুট ওভারব্রীজ না, জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পাড় হওয়ার প্রবণতা একদম ই নেই বললে চলে।

তাহলে দায়ী কি শুধু পরিবহন চালকেরা? দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে আমরা কি দায়ী নই?
রাস্তার ট্রাফিক পুলিশরা যতই তাদের ডিউটি তে নিয়োজিত থাকুক নিজের প্রাণ বাঁচাতে হলে সচেতন হতে হবে নিজের। এখনি সময় দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠত করার।

লিখেছেন – কাজী তাসনিম নাহার
শিক্ষার্থী: রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।